নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নে মসজিদ ভাংচুর: নামাজ পড়তে বাধা

নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নে মসজিদ ভাংচুর: নামাজ পড়তে বাধা দিচ্ছে

ফিরোজ হোসেন(ঢাকা): জমি বিরোধ বিষয় নিয়ে অনেক কিছুই ভাংচুরের ঘটনা ঘটে থাকে৷ তবে এটা ভিন্ন বিষয়। সবাই অবশ্য জানেন মসজিদ মুসলিম ধর্মের পবিত্র জায়গা৷ অার এই মসজিদের বিভিন্ন অংশ ভাংচুর এবং নামাজ পড়তে বাধার ঘটনা ঘটেছে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের পশ্চিম পাতিলঝাপ তারা বিবি জামে মসজিদে।

সম্প্রতিক ২০১২ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাতিলঝাপ গ্রামে মসজিদটি নির্মাণের জন্য মসজিদের নামে নিজ ইচ্ছায় ৫৪ শতাংশ জায়গা ওয়াকফকৃত দলিল মূলে রেজিস্ট্রেী করে মসজিদের নামে দলিল করে লিখে দেন ঐ গ্রামের বাসিন্দা মো. লেহাজ উদ্দিন।

মসজিদটি নির্মাণ হওয়ার দীর্ঘ ৪ বছর পর ২০১৬ সালে লেহাজ উদ্দিনের স্ত্রী অাইরিক বেগম তার স্বামী মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত দলিল মূলে ৫৪ শতাংশ জায়গা মসজিদের গেইটে তালা দিয়ে বিভিন্নভাবে দখল করে নেওয়া চেষ্টা চালায়৷

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গ্রামভিত্তিক শালিশিতে মসজিদে নামাজের ব্যাপারে বাধা না দিতে বলা হলেও লেহাজ উদ্দিনের স্ত্রী অাইরিন বেগম বিষয়টি কোন অামলে না নিয়ে প্রতিনয়তই মসজিদ তালা দিয়ে দখল করার চেষ্টা করেন৷

গত শুক্রবার সকাল ১১ টায় অাইরিন বেগম অাবারও মসজিদের জানালা, গেইট, টয়লেটসহ বিভিন্ন সঞ্জামী ভাংচুর করেন৷ এবং মুসল্লীরা যেন নামাজ পড়তে না পাড়ে সেজন্য মসজিদের ভীতরে চুলকানি জাতীয় কীটনাশক দেয় অাইরিনন। পরে জুম্নার নামজ পড়তে গিয়ে সকল মুসল্লীরা হাত- পা চুলকাতে থাকে।

মসজিদের ঈমাম ওমর ফারুক বলেন, মসজিদ হলো পবিত্র জায়গা। এখানে নামাজ যেন না পড়তে পারে এজন্য চুলাকানী জাতীয় কীটনাশক ও গাছের পাতা দেওয়া হয়েছে৷ নামাজের সময় সবার হাত-পা চুলাকানোর কারনে এতে নামাজে ব্যঘাত ঘটে৷

এ বিষয়ে লেহাজ উদ্দিন ও তার স্ত্রী অাইরিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাদের নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়৷

মসজিদ কমিটির সভাপতি রফিক খান বলেন, মসজিদ, কবরস্থান এবং ঈদগাহ মাঠের জন্য ৫৪ শতাংশ জায়গা লেজাহ উদ্দিন ওয়াকফকৃত দলিল মূলে নিজ ইচ্ছায় মসজিদের নামে রেজিস্ট্রেী করে দিয়েছেন। কিন্তু ছয় বছর পর এই জায়গা তার স্ত্রী অাইরিন জোরপূর্বকভাবে দখল করে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ প্রায়ই মসজিদের তালা দিয়ে নামাজ পড়তে বাধা দেয়। কেউ কিছু বলতে গেলে তিনি খারাপ অাচরন করে থাকে৷ মহিলা মানুষ দেখে তাকে কেউ কিছু বলতে পারছে না৷

এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে অামার কাছে অাজকে অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। যদি জায়গাটি ওয়াকফকৃত দলিল মূলে মসজিদের নামে রেজিস্ট্রেী করে দেওয়ার পর যদি কেউ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভাংচুর এবং জমি দখল করে নেওয়া চেষ্টা করে থাকে তাহলে অামরা ঘটনা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment